অপরাধীরা যেন কোনোভাবেই ছাড় না পায়
Criminal Should not be
let off at any cost.
পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু
Death in police custody.
| তারিখ: ০৯-০৬-২০১৩
শামীম সরকারকে আটক করেছিলেন সাভারের চামড়াশিল্পনগর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
The members of
Savar tannery industry police outpost arrested Shamim Sirkar.
পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় ৩২ বছর বয়সী এই যুবকের মৃত্যু যে স্বাভাবিক ঘটনা নয়, তা সহজেই অনুমেয়।
It can easily be guessed that the death of this
32 years old youth under police custody is not an ordinary incident.
এ-সংক্রান্ত মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবেই থানায় দায়ের করা হয়েছে।
This killing has been filed as a murder case with police
station.
পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের অন্ত নেই।
There are plenty of complaints of violating human
rights against law enforcement including police.
কিন্তু এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।
But it’s occurring frequently.
নিহত শামীমের পরিবারের অভিযোগ, আটক করার পর ২০ লাখ টাকা দাবি করেছিল পুলিশ।
It is claimed by deceased Shamim’s family that
the police demanded taka 20 lakh as bribe after arresting him.
দাবি অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় সাভারের চামড়াশিল্পনগর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করায় শামীম মারা যান।
As their demand was not fulfilled, police
tortured Shamim in Tannery Industry police outpost and consequently he died.
লোকজন আটক করে টাকা দাবি, দাবি পূরণ না হলে নির্যাতন—পুলিশের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ নতুন নয়।
Demanding bribe, and torturing if demand is not
filled is not a new complaint against police.
শামীমের ক্ষেত্রে যে এমনটি ঘটেছে তা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
There are many reasons to believe that the same things
happened to Shamim.
শামীম পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন বুধবার রাত আটটার দিকে, এরপর নানা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
Shamim was arrested at around 8pm on Wednesday,
then he was carried to many places.
রাত তিনটায় পুলিশ ফাঁড়িতে আনার পর ভোররাতের দিকে মারা যান তিনি।
He was taken to the police outpost at around 3am and he died
in the dawn.
কী কারণে মারা যেতে পারেন এই যুবক?
What can be the cause of his death?
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি, কিন্তু ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, শামীমের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
The autopsy report hasn’t been completed yet, but
the SP of Dhaka informed that symptoms of torture have been found in Shamim’s
body.
ফাঁড়িতে নির্যাতনের অভিযোগকে সত্য বলেই মানতে হচ্ছে। আর সে কারণেই টাকা দাবি করার বিষয়টিও বিশ্বাসযোগ্যতা পায়।
শামীম সরকারের সঙ্গে আটক হয়েছিলেন তাঁর ফুফাতো বোনের ছেলে সাইফুল ইসলাম। তাঁর অভিযোগ, আটক করার পর তাঁদের কাছে টাকা দাবি করা হয়েছে এবং পাশের রুমে তিনি শামীমের ওপর নির্যাতনের শব্দ শুনেছেন। নিহতের স্ত্রীও অভিযোগ করেছেন, নির্যাতনের শিকার হয়ে তাঁর স্বামী ফাঁড়ি থেকে ফোন করে শেষ পর্যন্ত দুই লাখ টাকা দিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার আকুতিও করেছেন।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাভার ও আশুলিয়া থানার পুলিশের চার সদস্যকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাঁরা সবাই রিমান্ডে রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যদি এ ধরনের জঘন্য অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন, তবে এক অসহায় অবস্থার শিকার হতে পারেন রাষ্ট্রের যেকোনো নাগরিক, শামীমের ক্ষেত্রে তা-ই ঘটেছে। পুলিশ নিজেই যখন দুর্বৃত্তপনায় জড়িয়ে পড়ে, তখন আর কোথায় গিয়ে সাহায্য চাইতে পারতেন শামীমের অসহায় স্ত্রী?
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, এটা স্বস্তির বিষয়। অতীতে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা দেখেছি, পুলিশ নিজেদের অপরাধ ও অপকর্ম চাপা দিতে তৎপর থেকেছে। আমরা আশা করব, এ ক্ষেত্রে পুলিশ কোনো ধরনের পক্ষপাত বা অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করবে না। পুলিশ নিজেই যেহেতু ঘটনার তদন্ত করছে, তাই এ ক্ষেত্রে দায়টা আরও বেশি। এর সঙ্গে পুলিশের ভাবমূর্তির বিষয়টি জড়িত। এ ধরনের কিছু অপরাধী ও দুর্বৃত্ত সদস্যদের ছাড় নয়, বরং যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা গেলেই পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
শামীম সরকারের সঙ্গে আটক হয়েছিলেন তাঁর ফুফাতো বোনের ছেলে সাইফুল ইসলাম। তাঁর অভিযোগ, আটক করার পর তাঁদের কাছে টাকা দাবি করা হয়েছে এবং পাশের রুমে তিনি শামীমের ওপর নির্যাতনের শব্দ শুনেছেন। নিহতের স্ত্রীও অভিযোগ করেছেন, নির্যাতনের শিকার হয়ে তাঁর স্বামী ফাঁড়ি থেকে ফোন করে শেষ পর্যন্ত দুই লাখ টাকা দিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার আকুতিও করেছেন।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাভার ও আশুলিয়া থানার পুলিশের চার সদস্যকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাঁরা সবাই রিমান্ডে রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যদি এ ধরনের জঘন্য অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন, তবে এক অসহায় অবস্থার শিকার হতে পারেন রাষ্ট্রের যেকোনো নাগরিক, শামীমের ক্ষেত্রে তা-ই ঘটেছে। পুলিশ নিজেই যখন দুর্বৃত্তপনায় জড়িয়ে পড়ে, তখন আর কোথায় গিয়ে সাহায্য চাইতে পারতেন শামীমের অসহায় স্ত্রী?
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, এটা স্বস্তির বিষয়। অতীতে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা দেখেছি, পুলিশ নিজেদের অপরাধ ও অপকর্ম চাপা দিতে তৎপর থেকেছে। আমরা আশা করব, এ ক্ষেত্রে পুলিশ কোনো ধরনের পক্ষপাত বা অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করবে না। পুলিশ নিজেই যেহেতু ঘটনার তদন্ত করছে, তাই এ ক্ষেত্রে দায়টা আরও বেশি। এর সঙ্গে পুলিশের ভাবমূর্তির বিষয়টি জড়িত। এ ধরনের কিছু অপরাধী ও দুর্বৃত্ত সদস্যদের ছাড় নয়, বরং যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা গেলেই পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।