এম. আজিজুল হক
03/04/2013
সকালে রাস্তায় বেড় হয়ে দেখি অবাক কান্ড
রাস্তার দু’পাশে জমে থাকা আবর্জনা গুলো নেই।
পরক্ষনেই মনে হল এ মহান কাজ তুমিই করেছো।
বৃষ্টি তুমি কি পারোনা রাস্তার দুপাশের মত
আমাদের সমাজটাকেও পরিস্কার করে দিতে?
ড্রেনের ময়লা গুলোকে যেভাবে ভাসিয়ে নিয়ে
কোন খালে ফেলে দাও,
সেভাবে কি আমাদের দুষ্ট চিন্তা গুলোকে ও
তুমি ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারোনা?
বৃষ্টি, তোমার কোমল ফোটা ফোটা জল দিয়ে
তুমি যেভাবে মৃত প্রায় গাছটিকে সবুজ করে তোল,
তেমনি করে কি আমাদের মনকেও বিকশিত করতে পারো না?
রাস্তার পাশের গাছের পাতায় জমে থাকা
ধুলো বালি যেভাবে পরিস্ককার করো,
তুমি কি পারো না সেইভাবে রাস্তার মোড়ে
দাড়িয়ে থাকা বখাটের মাথাটা পরিস্কার করে দিতে?
চৈত্রের খরতাপে পাথর হয়ে যাওয়া মাটিকে
কাঁদার মত নরম করে তুমি যেভাবে কৃষকের মুখে হাসি ফোটাও,
সেভাবে কি অবাধ্য সন্তানের মন গলিয়ে
তার মায়ের মুখে হাসি ফুটাতে পারোনা?
ক্ষমতাশীলরা খাল-নদীর দু’পাশে বাঁধ দিয়ে
পানি আটকে রেখে কৃষক মেরে মাছ চাষ করে,
আর তুমি অঝর ধারায় যেভাবে তার বাঁধ দেয়া
অংশ টুকু আবার খালে মিলিয়ে দিয়ে
মাছ গুলো সবার তরে বিলি করে দাও,
তুমি কি পারেনা সেভাবে রক্ত চোষাদের কালো সম্পদ গুলো বিলিয়ে দিতে?
তুমি যেভাবে ঢাকার রাজ পথে বড়লোকের
গাড়ি থামিয়ে গরীরদের নৌকা চালানোর ব্য্যবস্থা কর,
সেভাবে কি ঘুষ খোর গুলোকে বসিয়ে দিয়ে
সৎ মানুষ গুলোকে দাঁড় করিয়ে দিতে পারো না?
তুমি যেভাবে নদীর মোহনায় ইলিশের বংশ বৃদ্ধিতে সাহায্য কর
সেভাবে কি আমাদের শুভ বুদ্ধির ব্যবস্থা করতে পারো না?
আমিতো বলি তুমি সব পারো কিন্তু করো না ।
তুমি ও আমাদের ভন্ড ত্রাতাদের মত নিষ্ঠুর ।
তুমি কখনো ঘুষের টাকায় গড়া অট্টালিকার ছাদ ছিদ্র করনা,
অথচ খেটে খাওয়া মানুষটার কুড়ে ঘর ছিদ্র করে তার ঘুম নষ্ট কর।
তুমি কখনো সোনার গাঁ হোটেলে হানা দাওনা
কিন্তু রাস্তার পাশে শুয়ে থাকা মানুষটাকে
সারা রাত জবু থবু করে বসিয়ে রাখো।
তুমি ধনীর ঘরের আইপিএস এর তার ছেঁড়না
কিন্তু গরীব ছেলেটার ঘরে অন্ধকার এনে তার পড়া-শোনা নষ্ট কর।
প্রচন্ড বর্ষনে হাটু পানির বাস্তায়
গাড়ি না পেয়ে একা গার্মেন্টস কন্যা অন্ধকারে বাড়ির পথে হাটতে যেয়ে
সকালে পত্রিকার সংবাদ হয় শুধু তোমার কারণে।
তুমি এগুলো বন্ধ করা নইলে আমরা প্রতিবাদ করবো।
তোমাকে হয়তো থামাতে পারবো না কিন্তু ছাতাতো ধরতে পারবো।