প্রাইভেট কার

এম. আজিজুল হক
২০/০৫/২০১৩

নতুন এক প্রাইভেট কারের খবর চাউর হয়েছে,
এক আশ্চর্য প্রাইভেট কার।

তার তেল খরচ নিয়ে আর আপনাকে ভাবতে হবে না,
নিজের তেলের ব্যবস্থা নিজেই করে নেয়।

তার নিরাপত্তার জন্য সিকিউরিটি গার্ডসহ উচ্চ মূল্যের শেড ভাড়া করতে হবে না,
ফুটপথ হোক আর গাছ তলা, সে নিজেই নিজের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে,
যখন- প্রয়োজন তখন- আপনার সেবায় হাজির হবে।
আপনি শুধু চড়বেন, আর উপরে উঠবেন।

তার পার্টস্‌-পাতি নষ্ট হল কি-না,
এমন কোন চিন্তা আপনাকে করতে হবেনা।
আপনার নাদান ছেলেটাকে একবার উঠাতে পারলেই কেল্লা খতম,
তাকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বানানোর জন্য যেখানে নেয়ার দরকার হবে,
এই প্রাইভেট কারই নিয়ে যাবে।

আপনাকে ড্রাইভারও রাখতে হবেনা, সে নিজেই নিজেকে চালাবে।

এই কারে আপনাকে আলো জ্বালাতে হবে না,
তার এত আলো যে সে আপনাকেও আলোকিত করবে।

আবার দামেও সস্তা, এককালীন কোন মূল্য দিতে হবে না,
যতদিন চড়বেন, শুধু সামান্য মাসিক কিস্তি দিবেন,
মন চাইলে যখন তখন মডেলও পরিবর্তন করতে পারবেন।

এখনতো এই প্রাইভেটকারের খবর নিয়ে মোবাইলে এসএমএস চালাচালি হচ্ছে,
কী ভাবছেন? আবার কোন মডেলের প্রাইভেট কার?
তাহলে খুলেই বলি-
প্রাইভেট শিক্ষক ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করলেন-
যারা গান লেখে তাদেরকে কী বলে?
ছাত্র উত্তর দিল-গীতিকার
আর যারা গানের সুর করে?
ছাত্র বলল-সুরকার
তারপরে ছাত্র উপযাচক হয়ে বলল-
স্যার তাহলে তো যারা প্রাইভেট পড়ায় তারা প্রাইভেটকার।

কথা বলে ছাত্র মিষ্টি করে হাসলো,
নাস্তা হাতে ছাত্রের মা মুচকি হাসি দিল,”
আর যার মোবাইলে এই এসএমএস আসলো সে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো।

সবকিছু দেখে এবং শুনে, প্রাইভেটকারটি গগণবিদারী হর্ণ বাজালো।
কিন্তু, সকল প্রকার সুবিধা থাকলেও,
এই প্রাইভেটকারের আছে একটি অসুবিধা।

তার হর্ণ সে ছাড়া সমাজের আর কেউ শুনতে পারেনা।